নরসিংদীর মনোহরদীতে নোয়াকান্দি হাজী আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দ বিধিবহির্ভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে প্রভাবশালী এক জন প্রতিনিধির নাম ব্যবহার করছেন।যা বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের নোয়াকান্দি হাজী আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে ৮ জন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। ১০ শে মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ৮ জনের মধ্যে থেকে ৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। পরে বোরহান উদ্দিন খন্দকার,মজিবুর রহমান ভূঁইয়া,সুমন আকন্দ ও শফিকুর রহমান মঞ্জু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। পরে ২৭ শে মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছে
লেবুতলা ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মানিকগঞ্জের জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আপেল মাহমুদ।বুধবার নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জলিল মিয়া।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।নির্বাচনে অভিভাবক প্রতিনিধি সুমন আকন্দ,সভাপতি পদে খন্দকার আপেল মাহমুদের নাম প্রস্তাব করে।আর বাকি সদস্যরা তা সমর্থন করে। এসময় জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দের নাম কেউ প্রস্তাব করেনি।একক নাম প্রস্তাবের পরও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জলিল মিয়া কমিটি ঘোষণা না দিয়ে মূলতবি করে দিয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জেল সুপারকে সভাপতি করতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠে।অভিযোগ রয়েছে জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দ বিধি বহির্ভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করেছেন।যা বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সভাপতি প্রার্থী খন্দকার আপেল মাহমুদ বলেন, আমার নাম এককভাবে প্রস্তাব করার পরও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমার নাম ঘোষণা করেনি।জেল সুপার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার জন্য প্রভাব বিস্তার করছে।তিনি ক্ষমতার জোর দেখিয়ে তার নাম কেউ প্রস্তাব না করার কারণে কমিটি ঘোষণা করতে দেয়নি। আমরা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।এব্যাপারে জেল সুপার বজলুর রশিদ আকন্দ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভি না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মনোহরদী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জলিল মিয়া বলেন,উপরের নির্দেশনা মোতাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে
খন্দকার সেলিম রেজা
স্টাফ রিপোর্টার